ওয়াক্সিং কি | বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ

ওয়াক্সিং কি আজকের আলোচনার বিষয়। ওয়াক্সিং [ Waxing ] বা অবাঞ্ছিত লোম তোলার পদ্ধতি আজকের বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাস। কোর্সটি করিয়েছেন আফরোজা পারভিন। কোর্সটি গুরুকুল এবং উজ্জ্বলা’র যৌথ উদ্যোগে করা হয়েছে।

 

ওয়াক্সিং কি

রেজার ও হেয়ার রিমুভাল ক্রিম দিয়ে শরীরের অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেললে, ত্বকে এর প্রভাব পড়ে। এর ফলে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে কালো ছোপ পড়ে যায়, ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত কোল্ড বা হট ওয়াক্সিং ব্যবহার করেন তাহলে দারুণ প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর।

 

 

শরীরে লোম থাকবে এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু শরীরের এমন অঙ্গে অবাঞ্চিত লোম থাকলে তখন তা তুলে ফেলতেই হয়। অন্যথায় তা বিশ্রী দেখায়, বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে। তাই অনেক মহিলাই রয়েছে যাঁরা নিয়মিত ওয়াক্সিং করান। আবার কেউ কেউ রয়েছেন যাঁরা মাঝে মাঝে ওয়াক্সিং করেন যখন দরকার পড়ে।

অন্যদিকে, অনেকেই ওয়াক্সিং করতে গিয়ে নানান পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই কোল্ড বা হট ওয়াক্সিং করা পছন্দ করেন। অনেকে আবার রেজার ও হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেন। এখন রোল অনের মত আরও অনেক উন্নত পদ্ধতি উপলব্ধ রয়েছে। কিন্তু রেজার ও হেয়ার রিমুভাল ক্রিম দিয়ে শরীরের অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেললে, ত্বকে এর প্রভাব পড়ে। এর ফলে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে কালো ছোপ পড়ে যায়, ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত কোল্ড বা হট ওয়াক্সিং ব্যবহার করেন তাহলে দারুণ প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর।

হরমোনের তারতম্যের কারণে অনেকের শরীরেরই অবাঞ্চিত লোমের পরিমাণ বেশি হয়। সেই ক্ষেত্রে ওয়াক্সিংই আপনাকে সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে। তাছাড়া নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে শরীরে কোনও দাগছোপ থাকে না। ত্বক উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে। অন্যদিকে, ওয়াক্সিং করায় রোমকূপের মুখ গুলিও খুলে যায়, যার ফলে চর্মরোগ, ফুসকুড়ি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।

রেজার ব্যবহার করলে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। উপরন্ত একই রেজার ক্রমাগত ব্যবহার করলে বা রেজার ব্যবহার করার পর ভাল করে না জল দিয়ে ধুলে সেখান থেকে ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ওয়াক্স তৈরি করা মোম, মধু ও চিনি দিয়ে। এই তিনটি উপাদানই ত্বকের ক্ষেত্রে সহায়ক। এই তিনটি উপাদানই ত্বকের ওপর আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে। তাই ওয়াক্সে ত্বকের ক্ষতি হয় না কোনও ভাবেই।

ত্বকের থেকে তুলনামূলক ভাবে কম যত্ন নেওয়া হয় শরীরের অন্যান্য অংশের। সেই ক্ষেত্রে নোংরা জমে রোমকূপে। অন্যদিকে, ত্বকের ওপর নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সেটাও বসে যায় রোমকূপের মধ্যে। ওয়াক্স করলে সহজেই নোংরা গুলো ত্বকের ওপর থেকে পরিষ্কার করা যায়। ত্বকের ট্যানও দূর হয়ে যায় সহজেই। এর সঙ্গে ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও উজ্জ্বল। সুতরাং ত্বকের সৌন্দর্যকে বজায় রাখতে প্রতিমাসে একবার করে ওয়াক্স করুন।

 

 

ওয়াক্সিং কি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment